Saturday, 18 August 2012

Jokes


চার্চের প্রধান পুরোত লক্ষ্য করলেন, জনৈকা যাজিকার উদরটা কিঞ্চিৎ স্ফীত। তার কালো আলখাল্লা ভেদ করে একটা উন্নত বক্ররেখা যেন ফুটে উঠেছে। তো পুরোত মশাই কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "সিস্টার, আপনার পেটটা কেমন যেন ফোলা দেখাচ্ছে!!"



-"ও কিছু না ফাদার। আসলে আজকে সকালে বাসি আলুভাজি খেয়েছিতো তাই একটু গ্যাস জমা হয়েছে বলে পেটটা ফোলা দেখাচ্ছে"



বহুদিন পর পাদ্রী আবারো দেখলেন সে যাজিকাকে। এবার উদরটা মনে হলো স্ফীততর। জিজ্ঞেস করলেন, "সিস্টার, আপনার পেটটা এমন গোলগাল মনে হচ্ছে কেন?"



-"ওহ ফাদার, আর বলবেন না। মদন গোমেজ তার ক্ষেতের যে মূলো আর শালগম ডনেট করেছিল, ওগুলো দিয়ে ভাত খেয়েছি। সেগুলোর মান ভাল ছিল না, ব্যাটার নিয়্যত খারাপ ছিল নিশ্চই। ওগুলো খেয়েইতো এমন গ্যাস হয়েছে পেটে।”



আরো কিছুদিন পর পাদ্রী আবারো খেয়াল করলেন সেই যাজিকাকে। দেখলেন, এবার তার পেট ঠিক যেন ঢোল হয়ে গিয়েছে। কাছে গিয়ে শুধালেন, “হায় ইশ্বর!! সিস্টার, পেটেকি বালিশ বেঁধেছেন??”



-“আর বলবেন না ফাদার। কাল রাতে ইস্টারের ভোজে একটা আস্ত বুনো শুয়োর রোস্ট করা হয়ছিল। কিন্তু চার্চের অথর্ব পাচক রাজন কোড়াইয়া মশলা মাখিয়ে উনুনে চড়াতে দেরী করে ফেলেছিল। আর সেই আস্ত আধপচা রোস্ট খেয়েই তো গ্যাস হয়ে পেট এরকম বেলুন হয়ছে।”



বেশ কিছুদিন পর পাদ্রী দেখলেন, যাজিকা একটা ছোট্ট শিশুকে তার গাউনের তলে গুঁজে নিয়ে হাঁটছে। তিনি কাছে গেলেন।

শিশুটির মাথায় হাত হাত বুলিয়ে বললেন, “বাহ, কী সুন্দর একটা পাদ!”







মেডিকেলে দুজন ডাক্তার, নার্স সবুরা খাতুনকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন।



“আরে বলবেন না আর, এই মহিলা একটা জলজ্যান্ত গাধী। তাকে যেটা বলা হয় ঠিক উলটোটা করে বসে। এই যে গেল সপ্তায়, আমি তাকে বললাম যে রোগীটাকে প্রতি দশ ঘন্টা অন্তর দুই মিলিগ্রামের পেরোসেট দাও, সে করল কি, দশ মিলিগ্রামের ওষুধ প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর দিয়ে দিল। রোগীতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরেকটু হলে মরতেই বসেছিল।”, বললো প্রথম ডাক্তার।



দ্বিতীয়জন বললো, “আরে সে এমন কী!! কিছুদিন আগে আট নম্বর কেবিনের একজন রোগীর তো অবস্থা বেগতিক। সে ওষুধ পর্যন্ত ঠিকভাবে খেতে পারছিল না। তো রোগীর অবস্থা দেখে আমি সবুরাকে বললাম সিরিঞ্জে ওষুধ ভরে প্রতি চব্বিশ ঘন্টা পরপর একবার রোগীটার মলদ্বারে ঢুকিয়ে দিতে, অর্থাৎ ‘এনেমা’ দিতে আরকি।”



“ও, তারপর?”, বললো দ্বিতীয়জন।



“সে করলো উল্টোটা। সে এক ঘন্টায়ই চব্বিশবার- কষে রোগীর মলদ্বারে ওষুধ ঢুকিয়ে দিল। রোগীর তো একেবারে ফুটে যাবার অবস্থা। তাড়াতাড়ি তাকে আইসিইউ তে স্থানান্তর করালাম।”



এমন সময়, “ওয়াল্লা, বাঁচাও” বলে ভীষন জোরে শব্দ হলো। পুরো ভবন যেন কেঁপে উঠলো। চমকে উঠলো ডাক্তার দুজন। প্রথম ডাক্তার ভয়ার্ত স্বরে বললো, “শব্দটা কোত্থেকে এলো!!”



“মনে হচ্ছে ছয় নাম্বার কেবিন থেকে। শনির আখড়ার সেই লোকটা। অ্যাকসিডেন্ট কেস। রানের গোড়ায় পাঁচটা সেলাই দিতে হয়েছিল যে....।”, বললো দ্বিতীয় ডাক্তারটা।



প্রথম ডাক্তার দাঁতে জিভ কাটলো।“হায় হায়, তাহলে তো মনে হয় সব্বনাশ হয়ে গেছে।”



“কেন কী হলো আবার?”, বিস্ময়ে জানতে চাইল দ্বিতীয় জন।



“জার্মানি থেকে কতগুলো নতুন আর উন্নতমানের কাঁচি এসেছে। জীবানুরোধের জন্য ওগুলোর ব্লেডে পাতলা সোনার প্রলেপ দেয়া আছে। ওই কেবিনে ওরকম একটা কাঁচি রাখা ছিল।”, রুদ্ধশ্বাসে জবাব দিল প্রথম ডাক্তার।



“কিন্তু তাতে কী?”



প্রথম ডাক্তার ম্লানমুখে বললো, “আমি নার্স সবুরা খাতুনকে বলেছিলাম সোনার কাঁচি দিয়ে রোগীর সেলাই কাটতে।”

No comments:

Post a Comment